
খেলাধুলা ডেস্কঃ লর্ডসের বারান্দায় বিশ্বকাপ হাতে ভারতের অধিনায়ক কপিল দেব। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের চিরস্মরণীয় এ মুহূর্তের ৩৭ বছর পূর্তি আজ। খুব স্বাভাবিকভাবেই আজ সেই দলের খেলোয়াড়দের স্মৃতিচারণের দিন। সুনীল গাভাস্কার সে পথে হেঁটেই কপিলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন।
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান ছিল কপিলের। আশির দশকে বিশ্বের সেরা চার অলরাউন্ডারদের একজন ছিলেন সাবেক পেসার। স্যার রিচার্ড হ্যাডলি, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান ও কপিল দেব। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের কাতারে এখনো সহজেই উঠে আসে তাঁর নাম। কিন্তু কপিল কি ভারতের ইতিহাসে সেরা ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়?
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ‘ম্যাচ উইনার’ হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম বেশি উচ্চারিত হয় ভারতীয়দের মুখে। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়ক চাপ সামলে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে। কিন্তু গাভাস্কারের কাছে ভারতের সর্বকালের সেরা ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় কপিল, ‘৮৩ বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জাগরণ’ এ নিয়ে গাভাস্কারের কথা প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘ভারতের ইতিহাসে কপিল দেবই সেরা ম্যাচ উইনার। কারণ সে ব্যাটিংয়ে ও বোলিংয়ে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখত।’
১৩১ টেস্টে ৪৩৪ উইকেট নিয়েছেন কপিল। ৮ সেঞ্চুরিসহ ৩১.০৫ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ২৪৮। ওয়ানডেতে ২২৫ ম্যাচে ২৫৩ উইকেট নেওয়া কপিল ৯৫ স্ট্রাইকরেটে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রান করেছেন। সেঞ্চুরি একটাই, সেই ১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৫ রানের অপরাজিত সেই অবিস্মরণী ইনিংসটি।
গাভাস্কার নিজেও ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। টেস্টে এক সময় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড তাঁর দখলে ছিল। আশির দশকের সে সময় গাভাস্কার ও কপিলের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টিতে করতে অনেকেরই লক্ষ্য ছিল। গাভাস্কার নিজেই বলেছেন, ‘কিছু বোর্ড সদস্য এবং অবসর নেওয়া কিছু খেলোয়াড় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা সব সময় দেশের খেলার উন্নতি নিয়ে ভেবেছি। তাই ওসব পাত্তা দেইনি।’
সূত্রঃ প্রথম আলো
